স্মৃতির পাতায় অপেক্ষা
প্রতীক মহাপাত্র
অক্ষরগুলোকে শেষ এতটা গুছিয়ে রেখেছিলাম,
এই বছরখানেক হলো।
মলাটের ভাঁজে মুখ গুঁজে সেই যে অভিমানী হয়ে বসলো
— তারপর আর একবারটি তাকিয়ে দেখার তাগিদটাও যেন চলে গেল ওদের।
কত ঘটনা এলো গেল, কেউ জায়গা করে নিল,
কাউকে আবার অতিথি সৎকারের দায়টুকু সেরে
যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব ভদ্রভাবে বাইরের দরজাটা দেখিয়ে দিলাম।
মলাটের ভাঁজে মুখ গুঁজে সেই যে অভিমানী হয়ে বসলো
— এর পরে তাদের অন্দরে কাউকে আর আপন ক'রে নিলনা।
পরিচয়ের সৌহার্দ্য থেকে প্রাপ্তির উচ্ছ্বাস,
সুর হারানোর বিঁধে থাকা যন্ত্রণা থেকে পরিহাস।
আলগা হিতার্থের কপট মাধুরী থেকে 'শ্রেয়'কে খুঁজে নেওয়ার অন্তহীন ওঠাপড়া,
— ঠাঁই পেলোনা মলাটের ওপারে আর কিছুই।
ব্যস্ততা আদতে দৃপ্ত, কিন্তু সময়বিশেষে সে বড়ো অজুহাত।
তার আত্মার চিরপরিচিত ছন্দের ওপর মোড়ক চাপালো উন্নাসিকতার।
বলা নেই, কওয়া নেই- একেবারে বাঁধ দিয়ে বসলো অনাবিল ঘটনার আসা-যাওয়াগুলোকে।
সবুজ ডাক দিয়েছিল আপন করতে, ওপারের সাদা পাতাগুলো আর ছোটো ছোটো খুশির নির্ভেজাল আনাগোনাকেও আপন করলোনা।
হ্যাঁ, এক কালের ঠুনকো কিছু প্রাপ্তিকে এরা টেনে নিয়েছিল ঠিকই,
কিন্তু ঠুনকো ছিল বুঝতে পেরেই বোধ হয় আর ঝুঁকির পথে হাঁটলোনা ওরা।
ভাবলো, থাক না পড়ে এলোমেলো।
দায় তো আমাদের নয়!
ওরা ভাবলো না, কীভাবে ভিত হারানো সত্তাগুলো আস্তে আস্তে নিজেদের গুছিয়ে আবার তৈরি হতে পারে সাধের আশ্রয়।
ওরা দেখলো না, কীভাবে আহত টুকরো গুলো থেকে জন্ম নিতে পারে
রূপকথার নতুন ফিনিক্স!
কী মনে করেছিল কে জানে? ভেবেছিল বোধ হয়,
সময়ের জোয়ার-ভাটায় অগোছালো বেসুরো মন আর চাইবেনা আগের মতো স্মৃতির পাতাকে আবেগের জন্যে অপেক্ষা করতে দিতে।
না, তার মনের মানুষের চলে যাওয়ার শব্দ শুনে অন্ধকারে ঘুম ভেঙেছে— এমনটা নয়।
ঘোর কেটেছে সেই নতুন ফিনিক্সের দীপ্তি দেখে।
বুঝলো, অপেক্ষার প্রহর শেষে এবার হয়েছে সময়, মলাটের আগল খুলে সাদা পাতাদের বুকে তুলিকলমের রূপরেখাকে তাদের অধীর আগ্রহে থাকা ছন্দগুলোকে কথা বলতে দেওয়ার।
অক্ষরগুলোকে শেষ এতটা গুছিয়ে রেখেছিলাম,
এই বছরখানেক হলো।
মলাটের ভাঁজে মুখ গুঁজে সেই যে অভিমানী হয়ে বসছিল
— মুখ তুলে চাইলো তারা নতুন শরিকদের বুকে জড়িয়ে নিতে।
আপনারা লেখা পাঠান ভোকাট্টা ব্লগের জন্য।
লেখা পাঠানোর নিয়মাবলী –
১) লেখাটি অবশ্যই মৌলিক (নিজের রচনা) হতে হবে।
২) আপনারা লেখা পাঠাবেন – vokattamagazine@gmail.com এ।
৩) লেখা পাঠানোর সময় অবশ্যই উল্লেখ করবেন “ব্লগজিন এর জন্যে”।
৪) লেখার বিষয়বস্তু অবশ্যই রুচিসম্পন্ন ও কিশোর মনন উপযোগী হতে হবে।
৫) শুধুমাত্র টাইপ করা ওয়ার্ড ফাইল এ লেখা পাঠানো যাবে।
৬) ছোটগল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, ভ্রমণ বৃত্তান্ত ও সদ্য পড়া কোনো বইয়ের ভালোলাগা-মন্দলাগা এই বিষয় গুলি নিয়ে লেখা পাঠানো যাবে।
৭) কবিতা ছাড়া বাকি বিষয়গুলির জন্য শব্দসংখ্যা ১৫০০ থেকে সর্বাধিক ২০০০ সংখ্যা পর্যন্ত লেখা যাবে।
৮) লেখার সাথে নিজের এক কপি ছবি পাঠাতে হবে।
প্রত্যেকটি নিয়মাবলী মেনে লেখা পাঠান। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকাশ করবো আমরা।
আরও জানতে চোখ রাখুন – vokattamagazine.blogspot.com ও Vokatta- ভোকাট্টা কিশোর সাহিত্য পত্রিকা ও ব্লগজিন এর ফেসবুক গ্রুপে। আমাদের ফেসবুক গ্রুপের লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/groups/1696390677204052/?ref=share
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন