ভোকাট্টা ব্লগজিন সংখ্যা ১০


কবি চন্দন আচারের লেখা দু'টি কবিতা

 

কবিতা ১

 

তুমি আমায় রাত্রি দিলেও নেবো

আছো যখন আলো হয়ে পাশে,

তুমি আমায় সকাল দিলেও নেবো

তোমার হাসি সূর্য হয়ে হাসে।

 

মাথা তুলে থেকো, তুমি মাথা তুলে রেখো

যেমন করে প্রথম বীজপত্র মাথা তুলে

কচি দুটো হাত বিজয়ী ভঙ্গিমায় তুলে ধরে।

 

যেমন করে কাণ্ডহীন লতাও

সদাই মাথা তুলতে চায়

সদাই উঠতে চায় আরো উপরে।

 

মাথা তুলে থেকো, তুমি মাথা তুলে রেখো।

যেমন মাথা তুলে আছে সদাভঙ্গুর প্রাচীন পাহাড়,

যেমন করে তরল ঢেউও মাথা তোলে বারবার।

বা যেমন করে লাগামে বাঁধা ঘোড়া মাথা তোলে

যেমন করে বুকে হাঁটা সদা অবনত সর্প মাথা তোলে।

যেমন করে আহত পিপীলিকাও মাথা তুলে

সহস্রগুণ শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে প্রতিবাদ জানায়।

 

 

কবিতা ২

                                                                          

আমার হৃদয়ে বাড়তে থাকা গাছ ছুঁয়েছে আকাশ

আজ তার পাতার কোলে ফুলের কুঁড়ি

কুঁড়ির অন্তরে ফুলের সুবাস।

 

আমার হৃদয়ের ছোট্ট সে নদী

এখন অনেক বড়ো, অনেক আঁকাবাঁকা

নৃত্যময় শরীরে সাগর খোঁজার উচ্ছলতা।

আমার বারণ শোনার মতো ছোটো নেই সে নদী

আজ তার পাড় ভাঙার নেশা দুর্নিবার।

 

আমার হৃদয়ে গান গাওয়া পাখি

বাসা বুনেছে কয়েকদিন হলো।

আজ তার “প্রিয়া” “প্রিয়া” ডাকে

মাতাল আমার মনের আকাশ।

 

আমি একটি কিশোরী কুঁড়ি খোঁপায় গুঁজে

নদীতে পা ডুবিয়ে বসে বসে

ঐ পাগল পাখির গান শুনি

বেলা-অবেলা।

 

আমার হৃদয়ে বাড়তে থাকা গাছ ছুঁয়েছে আকাশ

আজ তার পাতার কোলে ফুলের কুঁড়ি

কুঁড়ির অন্তরে ফুলের সুবাস।

 

আমার হৃদয়ের ভার এ পৃথিবীর চেয়েও ভারী

তবুও এক লহমায় আমি পাহাড় ডিঙোতে পারি।

 

 

© 2020 চন্দন আচার


২টি মন্তব্য: