সংবিৎ
ফিরল। না, বারাশিঙ্গার অ্যালার্ম কলে নয়। ফোনের অ্যালার্মে! স্বপ্নেই বিভোর হয়ে ছিলাম
বটে! তবে স্মৃতি আজও অমলিন। পরের দু'টো দিন কানহায় বারাশিঙ্গাদের দলের সাথে এবং শেষ
দিন অন্যতম প্রভাবশালী বাঘ কড়াইঘাটি মেলকে (KTR T-2) দেখে বেশ জমজমাট কেটেছিল বটে!
স্মৃতির মণিকোঠায় থেকে যাবে শেষদিনর কিসলী ওয়ারহোলের সূর্যাস্তে 'কাজলনয়না হরিণী'দের
সমাগম (যতদূর মনে আছে অন্তত ওখানে কোনও পুরুষ হরিণ তখন ছিলনা, ছবিও সেই কথাই বলে)।
মনে রয়ে যাবে কিসলী গেস্ট হাউসে পড়ন্ত বিকেলে কানহার ফিল্ড ডিরেক্টর ড. সঞ্জয় শুক্লার
সাথে বসে 'ব্রেভ হার্টস্ অব ইণ্ডিয়া'-র ডেমনস্ট্রেশন দেওয়া ও আলোচনা। ১৫ জানুয়ারি ছিল
দীপকদার জন্মদিন। উনি বার বার বলছিলেন, "মেল টাইগার তো হলো, একটা যদি গাউরের দেখা
পেতাম!" সন্ধ্যের মুখেই আমাদের চায়ের আসরে এসে দূরে উপস্থিতি জানান দিল এক পুরুষ
গাউর। জন্মদিনের সেরা উপহার দীপকদার জন্য। বন্দিদশায় আজ বড্ড মনে পড়ছে আরণ্যকদের কথা,
আরণ্যক হৃদয়ের কথা। আমরা কবে আবার মুক্ত হ'ব জানা নেই। আবার কবে দেখতে পাবো তোমাদের?
আরও কিছুটা সময় তো কাটবেই বন্দিদশায় তারপরের নতুন সূর্যে স্নাত কোনও এক সকালে শিশিরভেজা
ঘাসের বনে আবার যদি দেখা হয়, কেমন হবে বলোতো? আবারও ময়ূরেরা জানান দেবে নয়নার দৃপ্ত
চলাফেরার নীরব শব্দকে। শীতের পড়ন্ত বিকেলে চোখ খুঁজবে কোনও গাছে ডালে অলস চিতাবাঘ বিশ্রাম
নিচ্ছে কি না। দেখা কখন পাবো, তা জানা নেই। কিন্তু, আর সত্যিই যে পেরে উঠছিনা তোমাদের
সান্নিধ্যে না গিয়ে? যখন হঠাৎ আবার ওই গহনে দু'জনের দেখা হবে, তৃষিত হৃদয়কে চিনতে পারবে
তো? রইলাম প্রতীক্ষায়...
দারুন লাগল
উত্তরমুছুন